Headlines

ফ্যাশনেবল জুয়লারি তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার! জেনে নিন ব্যবসার বিস্তার বিস্তারিত

আমার বাংলা ডেস্ক : যত দিন যাবে, ততো ফ্যাশন আরো বেড়ে যাবে। তাছাড়া সুন্দর ড্রেস এবং সুন্দর শাড়ির সাথে সুন্দর গয়না তো অবশ্যই রাখতে হবে। তার উপরে বর্তমানে হাতে তৈরি গয়নার চাহিদা একেবারে তুঙ্গে। বিভিন্ন কালার, বিভিন্ন ডিজাইনের জুয়েলারি নজর কাড়বে অনায়াসেই।

যদি সোনা, রূপো কে কিছু সময়ের জন্য ভুলে যান, তাহলে শুধু দেখবেন মার্কেটে হাতে তৈরি গয়না, অক্সিডাইস জুয়েলারি এবং বিভিন্ন রকমের জুয়েলারিতে সম্পূর্ণ ছেয়ে গেছে।

হাতে তৈরি গয়না তৈরি এবং ডিজাইন :

এই কাজ করতে গেলে আপনাকে সবার প্রথমে ধৈর্য রাখতে হবে। কেননা জুয়েলারি বানানোর কাজ নিখুঁত এবং মুশকিল কাজ। এইকাজে সবথেকে কঠিন বিষয় হল জুয়েলারি ডিজাইনিং।

তাছাড়া মার্কেটে প্রতিদিন নতুন নতুন ডিজাইনের জুয়েলারি আসতেই আছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ডিজাইন করা জুয়েলারি তখনই ভালোভাবে বিক্রি হবে যখন সেই আপনার বানানো জুয়েলারি ভীষণ ইউনিক ডিজাইনের হবে।

এর জন্য অনেক জায়গাতে ট্রেনিং অথবা ক্লাস নেওয়া হয়। আপনি সেখানে গিয়েও ট্রেনিং এর মাধ্যমে জুয়েলারি ডিজাইনিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, এবং কিভাবে জুয়েলারি তৈরি করতে হয় সেগুলি ও শিখে নিতে পারেন।

এর সাথে সাথে ক্লাস কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি সেই সমস্ত তথ্য গুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে অন্য কাউকে শিখিয়ে ও তা থেকে উপার্জন করতে পারেন।

হাতে তৈরি জুয়েলারি ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে :

হাতে তৈরি গয়না ব্যবসা আরম্ভ করার জন্য নিম্নলিখিত স্টেপ গুলি ফলো করতে পারেন:-

১) একবার ডিজাইন শিখে নেওয়ার পর বাজার থেকে প্রয়োজনীয় কিট কিনে নিজের ঘরে থেকেই বিভিন্ন রকমের ডিজাইন এর আবির্ভাব করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

২) এরপর আপনার এই ব্যবসাটি ভালোভাবে শুরু করার জন্য এই ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন রকমের তথ্য অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। আপনার ব্যবসার জন্য স্টার্ট আপ, প্রচার এবং অন্য পুঁজি এর হিসাব করাটা অবশ্যই প্রয়োজন।

৩) এবার আপনি আপনার হিসাব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে এসে ঘরে তেই জুয়েলারি বানিয়ে সেগুলো বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারেন।

হাতে তৈরি গয়না ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন:

অন্যান্য ব্যবসার মতো এই ব্যবসায় ক্ষেত্রে কিন্তু বড় আকারে নিয়ে যেতে গেলে রেজিস্ট্রেশন করানো অবশ্যই প্রয়োজন।

আপনি আপনার ব্যবসাটিকে উদ্যোগ আধার এর রেজিস্ট্রেশন করে নিন এবং আপনার ফর্ম প্রোপাইটার শিপে অথবা পার্টনারশিপ এর অন্তর্গত রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিন অবশ্যই।

এই ব্যবসায় ক্ষেত্রে মার্কেটিং কিভাবে করবেন :

এই ব্যবসাটিকে ভালোভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন একটি জবরদস্ত মার্কেটিং এর প্রয়োজন পড়বে। মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন রকমের রাস্তা খোলা আছে আপনার সামনে।

যে রাস্তাগুলি আপনার বানানোর জুয়েলারি গুলিকে অনেক দূরে দূরে পৌঁছে দিতে পারে। যেখানে এই ব্যবসার মার্কেটিং আপনি খুব ভালোভাবে করতে পারবেন সেই জায়গাগুলি নিচে দেওয়া হল:

১) হ্যান্ড ক্রাফট মেলা :

এখন তো বিভিন্ন জায়গায় মেলাতে হাতে তৈরি জিনিসের স্টল দেওয়া হয় এবং মানুষ সেগুলি খুব আগ্রহের সাথে সংগ্রহ করে ঘরে নিয়ে যান। সেখানেও আপনার হাতে তৈরি জুয়েলারির স্টল দিতে পারেন, এবং অধিক লাভ রেখে সেগুলিকে বিক্রি করে ভালোমতো উপার্জন করতে পারবেন।

বর্তমানে তো এর চাহিদা প্রচুর। কিছু কিছু মেলা তো সরকার থেকেও আয়োজন করা হয়। আর এই মেলাতে আপনিও অংশগ্রহণ করে সেখানে জুয়েলারির স্টল দিতে পারেন।

২) জুয়েলারি পার্টি :

এটা কিন্তু আপনাকেই ঠিক করতে হবে, এমন পার্টিতে আপনার আয়োজন করা অনুষ্ঠানে সবাই এসে আপনার প্রতিভা দেখার সুযোগ পাবে।

আপনি আপনার তরফ থেকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন কে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত করে আপনার বানানো জুয়েলারি গুলি প্রদর্শন করতে পারেন। মার্কেটিং করার সাথে সাথে অনেকেই সেই জুয়েলারি কিনতে আগ্রহী হবেন।

৩) ব্যবসার ওয়েবসাইট বানিয়ে :

আপনি আপনার একটি ব্র্যান্ড তৈরি করুন এবং ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। এমন ভাবে জুয়েলারির মার্কেটিংয়ের জন্য অনলাইন সবথেকে সুন্দর বিকল্প রাস্তা অর্থাৎ আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে হাতে তৈরি করা জুয়েলারি গুলি বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন ধরুন ফ্লিপকার্ট, আমাজন ইত্যাদি তেও বিক্রি করতে পারেন অর্থাৎ আপলোড করতে পারেন। এখন অনলাইনে হাতে তৈরি গয়না প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়।

৪) লোকাল কসমেটিকস দোকান :

আপনার আশেপাশে বিভিন্ন রকমের কসমেটিকসের দোকান আপনি পেয়ে যাবেন, সেখানেও নিজের বানানো জুয়েলারি গুলির ডিজাইন দেখিয়ে মার্কেটিং করে সেই দোকানদার লাভ করতে পারবে এমন দামে দিতে পারেন অর্থাৎ হোলসেল দামে বিক্রি করতে পারেন, তার মাধ্যমে আপনি অনেকগুলি জুয়েলারি বিক্রি করতে পারবেন এবং সেই দোকানদার ও কিছুটা পরিমাণ লাভ রাখতে পারবেন।

হাতে তৈরি জুয়েলারি ব্যবসা করতে গেলে ইনভেস্টমেন্ট :

খুব সহজভাবে অনায়াসেই এই ব্যবসাটি ঘর থেকে শুরু করতে পারবেন। তার জন্য কোন দোকান ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

এই ব্যবসাতে আপনাকে কেবলমাত্র জুয়েলারি বানানোর জন্য যে সমস্ত সামগ্রী প্রয়োজন হয় সেগুলোই কিনতে হবে। যাতে আপনি কমসে কম ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে শুরু করতে পারেন।

হাতে বানানো জুয়েলারির দাম :

যদি আপনি সঠিক দামে নিজের বানানো জুয়েলারি গুলো বিক্রি করতে পারেন তাহলে এ থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে লাভ করতে পারবেন। যেকোনো জুয়েলারির দাম নির্ধারণ করার আগে আপনি সমস্ত খরচ একবার হিসাব করে নেবেন, তারপর লাভ বসিয়ে সেই জুয়েলারি দাম ঠিক করুন।

তার ফলে এই ব্যবসা থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে। হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমেও ছবি এবং ডিজাইন পাঠিয়ে অথবা কোন কাস্টমার তার ডিজাইন অনুযায়ী আপনাকে বানিয়ে দিতে বললে সেগুলো বানিয়েও উপার্জন করতে পারবেন অনায়াসেই।

মনের মত ডিজাইন তৈরি করা যায়, নিজের হাতে রং মিলিয়ে জুয়েলারি পরার শখ অনেকেরই থাকে, সে ক্ষেত্রে হাতে তৈরি গয়না একটি সেরা উপায়। এগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আকর্ষণীয়। তাছাড়া এখন তো বিয়ে বাড়ি থেকে গায়ে হলুদ সবকিছুতে হাতে তৈরি জুয়েলারি প্রচুর পরিমাণে অর্ডার করে থাকেন সবাই।

আর সেই কারণে এই ব্যবসাটি থেকে ভালোভাবে উপার্জন করতে পারবেন। শুধু একটু ধৈর্য, নিখুঁত কাজ এবং পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই ব্যবসাটি অনেক বড় আকারে নিয়ে যেতে পারেন।

জুয়েলারির কাজ শিখতে কোথায় যোগাযোগ করবেন?

মহাদেব অক্সিডাইজ জুয়েলারি
বেলুড়, রঙ্গোলী মলের কাছে।

ডিএন জুয়েলারি
মো- ৬২৯৫০৭০৬২৬

Leave a Reply