Headlines

দেখে নিন বাংলা আবাস যোজনার ঘরের তালিকা! কিভাবে করবেন নতুন আবেদন? রইলো বিস্তারিত

আমার বাংলা ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প বাংলা আবাস যোজনা। এবার এই প্রকল্পের ২০২৩ সালের ঘরের লিস্ট প্রকাশ করা (Bangla Awas Yojana) হল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সালে এই আবাসন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল (EWS), নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠী (LIG), এবং মধ্য-আয়ের গোষ্ঠী গুলি কে (MIG) সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদান করা।

বাংলা আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট 2 ২০২৩ প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (WBHIDCO) দ্বারা বাস্তবায়িত হয়। সুবিধাভোগীদের তাদের ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় এই লিস্ট অনুসারে। সুবিধাভোগীরা ১.২ লক্ষ্য থেকে শুরু করে ১.৬ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি পেতে পারেন তাদের নতুন বাড়ি নির্মাণ বা পুরনো বাড়ি সংস্করনের জন্য।
ভর্তুকির পরিমাণ সুবিধাভোগীদের বার্ষিক আয় এবং বাড়ির অবস্থার উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়।

সংক্ষেপে জানুন বাংলা আবাস যোজনা :

প্রকল্পের নাম  বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প 
বিভাগ  বীমা ও যোজনা কল্যাণ মন্ত্রক 
উপকারভোগী  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মানুষ 
অনলাইন আবেদন শুরু করার তারিখ  Ongoing…… 
অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখ  End date not fix 
উদ্দেশ্য  সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া 
ত্রাণ তহবিল  1.2 লাখ টাকা 
প্রকল্পের ধরণ  রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা 
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট  Wbprd.gov.in 

 

প্রকল্পের নাম : বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প
বিভাগ বীমা ও যোজনা কল্যাণ মন্ত্রক
উপকারভোগী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মানুষ,

অনলাইন আবেদন শুরু করার তারিখ : অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখ এখনও ঘোষিত হয়নি।

উদ্দেশ্য : সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া ত্রাণ তহবিল 1.2 লাখ টাকা প্রকল্পের ধরণ রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, http://Wbprd.gov.in

বাংলা আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট : “বাংলা আবাস যোজনা” হল একটি আবাসন প্রকল্প যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের জনগণকে আবাসন প্রদানের জন্য চালু করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী , কিংবা যাদের বাড়ি নেই তাদের তাদের নিজস্ব পাকা বাড়ি প্রদান করা। সরকার যোগ্য সুবিধাভোগীদের নতুন বাড়ি নির্মাণ বা বিদ্যমান বাড়িগুলির মেরামত ও সংস্কারের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। প্রদত্ত আর্থিক সহায়তার পরিমাণ প্রয়োজনীয় কাজের প্রকৃতি এবং সুবিধাভোগীর আয়ের উপর নির্ভর করে।

সুবিধাভোগীদের বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধার মতো অন্যান্য সুবিধাও প্রদান করে।
বাংলা আবাস যোজনা হল বৃহত্তর প্রকল্পের একটি অংশ, “বাংলা আবাস যোজনা” যার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সকলের জন্য আবাসন প্রদান করা।

ভর্তুকি : প্রকল্পটি নির্মাণের খরচ কমাতে সুবিধাভোগীদের ভর্তুকি প্রদান করে। প্রদত্ত ভর্তুকির পরিমাণ সুবিধাভোগীর আয়ের উপর নির্ভর করে।

সুবিধাভোগী : এই স্কিমটি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল (EWS) এবং নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠী (LIG) যাদের নিজস্ব কোনো পাকা বাড়ি নেই তাদের লক্ষ্য করা হয়েছে।

অন্যান্য সুবিধা : এই স্কিমটি সুবিধাভোগীদের অন্যান্য সুবিধা যেমন বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধা প্রদান করে।

বাস্তবায়ন : এই স্কিমটি পশ্চিমবঙ্গ হাউজিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (WBHIDCO) দ্বারা অন্যান্য সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়।

মনিটরিং : প্রকল্পের অগ্রগতি একটি ওয়েব-ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয় যা সুবিধাভোগীদের অবস্থা, তাদের অর্থ প্রদান এবং নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সহায়তা করে। সামগ্রিকভাবে, বাংলা আবাস যোজনা হল একটি ব্যাপক পরিকল্পনা যার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

বস্তির হ্রাস : এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল কাঁচাবাড়ি বা বস্তিতে বসবাসকারী লোকদের উন্নত আবাসন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাজ্যে বস্তির সংখ্যা হ্রাস করা।

নারীর ক্ষমতায়ন : এই স্কিমটি মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপরও জোর দেয় এবং তাদের বাড়ির মালিকানা প্রদান করে এবং তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্য করে তোলে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি : প্রকল্পটির লক্ষ্য নতুন বাড়ি নির্মাণ এবং বিদ্যমান বাড়ি গুলির মেরামত ও সংস্কারকে উৎসাহিত করে নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।

টেকসই উন্নয়ন : স্কিমটি গৃহ নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ব্যবহারে উৎসাহিত করে এবং শক্তি-দক্ষ সুবিধা প্রদান করে টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করে।

বাংলা আবাস যোজনার অন্তর্গত এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ কুড়ি হাজার) টাকা দেয়া হবে একটি পাকা বাড়ি তৈরী করার জন্য ।

প্রথম কিস্তি ৫৪,০০০/- টাকা যার মাধ্যমে বাড়ির জানলার কাজ করতে হয় ।

দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪৫,০০০/- টাকা যার দ্বারা বাড়ির লিন্টেল লেভেল পর্যন্ত নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে হয় ।

তৃতীয় কিস্তিতে ৩০,০০০/- টাকা দেওয়া হয়, এই টাকা দিয়ে ছাদ ও প্লাস্টার এবং জানলা দরজা সম্পূর্ণ করতে হয় ।

২০২৩-২৪ এ কারা আবেদন করতে পারবেন ?

বাংলা আবাস যোজনা ২০২৩-২৪ এ আবেদন করতে আপনাকে নিচে উল্লেখিত পয়েন্ট গুলি ফলো করতে হবে।

প্রথমত – আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
দ্বিতীয়ত – আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয়ের পরিমান ১ লক্ষ্য টাকার কম হতে হবে। তাহলেই এই প্রকল্পের জন্যও গন্য হবে।
তৃতীয়ত – আবেদনকারীর BPL ও রেশন কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
চতুর্থত – আবেদনকারীর জমির দলিল সাথে কম্পিউটার প্রিন্ট পর্চা বা রেকর্ড থাকা লাগবে।
পঞ্চম – লক্ষ্য রাখতে হবে আবেদন কারীর আগে থেকেই যেন পাকা বাড়ী না থাকে। যদি থাকে তাহলে সে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে না।
ষষ্ঠতম – চাকরিজীবীরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
বাংলা আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট ডকুমেন্টস
বাংলা আবাস যোজনা ঘরের জন্য আবেদন করতে আবেদন কারীর নিচে উল্লেখ করা ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।

আবেদনের জন্য কী কী  ডকুমেন্টস প্রয়োজন?

আবেদন কারীর প্যান কার্ড এবং আঁধার কার্ড।
অনলাইনে আবেদন করে থাকলে এপ্লিকেশন ফর্ম।
আবেদনকারীর রেশন কার্ডের প্রয়োজন হবে।
রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট (স্থায়ী বাসিন্দার পরিচয় পত্র)
আবেদন কারীর একটা পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
এবং লাস্টে আবেদন কারীর বাৎসরিক ইনকাম সাটিফিকেট প্রয়োজন হবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ ৬টি ডকুমেন্টস থাকলে আপনিও বাংলা অবস যোজনায় আবেদন করতে অপরবেন ।

আবেদন পদ্ধতি :

আবেদন করতে নিচে উল্লেখ করা স্টেপগুলি ফলো করুন।
প্রথমে আপনার নিকটবর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত অথবা গ্রাম প্রধান অফিসে গিয়ে Application From সংগ্রহ করতে হবে।
এরপর Application From টি সঠিক তথ্য দিয়ে ফিলাপ করতে হবে।
তারপর Bangla Awas Yojana Application ফর্ম এর সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো একসাথে করে গ্রামের পঞ্চায়েত, গ্রাম প্রধান, বা বিডিও অফিস গিয়ে জমা করতে হবে।
এই স্টেপ গুলি ফলো করলে আপনিও বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে আপনার নামটি নথিভুক্ত করতে পারবেন।

বাংলা আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট চেক :

প্রথমত: বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘরের লিস্ট চেক করতে এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
http://Wbhousing.gov.in , http://pmayg.nic.in,
দ্বিতীয়ত: হোম পেজটি ওপেন হলে Awaasoft অপশনটিতে ক্লিক Report এ ক্লিক করুন।
তৃতীয়ত: এবার আপনার রাজ্যের নাম , জেলার নাম , ব্লক , গ্রাম বা শহরের নাম , অঞ্চলের নাম বা মিউনিসিপালিটি নাম দিয়ে Submit করুন।

Leave a Reply