আমরা জানি যে দু’ধরনের বিনিয়োগ হয়। এক হল পুরো টাকা দেওয়া , অথবা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কিস্তিতে বিনিয়োগ, যাকে এসআইপি বলে। এই দুই বিনিয়োগ কৌশল সম্পূর্ণ আলাদা পদ্ধতিতে কাজ করে, আর্থিক লক্ষ্যও ভিন্ন। সুবিধা, অসুবিধাও আলাদা।
কোন পদ্ধতি লাভজনক?
এসআইপি বিনিয়োগে বাজার নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। যে কোনও সময় শুরু করা যায়। অন্য দিকে, এককালীন বিনিয়োগে বাজার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কোন সময় বিনিয়োগ লাভজনক, সেটা বুঝতে হবে ।
যাঁরা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন, তাঁরাই এককালীন বিনিয়োগের পথে হাঁটেন। আবার এটাও ঠিক, যাঁদের হাতে মোটা টাকা আছে, তাঁরাই এককালীন বিনিয়োগ করতে পারবেন। এসআইপিতে মোটা টাকার দরকার নেই। যতটা সাধ্য, তা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করা যায়। যাঁরা প্রথমবার বিনিয়োগ করছেন,
এসআইপি বিনিয়োগের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট রয়েছে। এতে বিনিয়োগের মেয়াদে ইউনিট প্রতি খরচ গড় করা হয়। একক বিনিয়োগে কোনও ইউনিট নেই। ফলে খরচ গড় করারও প্রশ্ন নেই।
এসআইপির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল চক্রবৃদ্ধির ক্ষমতা। নতুন কিস্তির সঙ্গে উৎপন্ন সুদ মিলে পুনরায় বিনিয়োগের সুবিধা পাওয়া যায়। এতে রিটার্নও বেশি মেলে। অন্য দিকে, এককালীন বিনিয়োগে অর্জিত সুদ পুনরায় বিনিয়োগ করা যায়। চক্রবৃদ্ধির সুবিধাও মেলে। কিন্তু মূল পরিমাণ এর ক্ষেত্রে।
এসআইপি-তে প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে নিয়মিত বিনিয়োগের অভ্যাস তৈরি হয়। এককালীন বিনিয়োগে একবারে সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। অতিরিক্ত ব্যয়ের সম্ভাবনা থাকে না।
এককালীন বিনিয়োগ এবং এসআইপির মধ্যে কোনটা ভাল?
এককালীন বিনিয়োগ এবং এসআইপির মধ্যে বাছতে হলে সময়, এই ফান্ডের ধরন এবং আর্থিক লক্ষ্য বিবেচনা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য এসআইপি আদর্শ।