আমার বাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana) ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নতুন যোজনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকা ঋণের পাশাপাশি শিল্পীদের ১৫,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মোদি সরকার। ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করেছিলেন সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করবে তবে সেটা সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু করার কথা জয়ন্তী উপলক্ষে এই প্রকল্প চালু করাই ছিল উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মত অনুসারে বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে বিশ্বকর্মা স্কিম চালু করা একটি সুন্দর স্কিম বলা যেতে পারে।
এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এই বিশ্বকর্মা প্রকল্প শুরু করার জন্য। এই প্রকল্প অনুসারে ৩০ লক্ষ শিল্পীর সুবিধা হবে, সেই সঙ্গে তাঁতি, স্বর্ণকার, চর্মকার, ধোপা সহ আরো বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন প্রথম পর্যায়ে, সরকারের তরফ থেকে এই পেশার সঙ্গে থাকা সকল কর্মজীবী মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
আর এই প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেয়া হবে। এছাড়া এই সমস্ত কাজ করার জন্য যে যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় সেগুলি কেনার জন্য ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সহযোগিতা করা হবে। এক লাখ (১,০০,০০০) টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়ার সুবিধা রয়েছে, এখানে মাত্র ৫% সর্বোচ্চ সুদ হতে পারে।
এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে, বিপণন কাজের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য ২ লক্ষ টাকা ঋণ অথবা লোনের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া আশা করা যাচ্ছে যে এই সমস্ত শিল্পীরা তাঁদের পুঁজির অভাবের কারণে তাঁদের কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে এই পুঁজির জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য করবে সরকার এবং অনেকেই ইচ্ছা থাকলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না, তাই যন্ত্রপাতি কেনার জন্য এই সহযোগিতা দেওয়ার উদ্দেশ্য।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana) সম্পর্কে কিছু বিষয়:
• প্রকল্পের নাম : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana) / প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা (PM Vishwakarma Koushal Samman Yojana),
• কারা আবেদন করতে পারবেন : কেবলমাত্র পারম্পরিক শিল্পকার এবং কারিগররা আবেদন করতে পারবেন।
• প্যাকেজের নাম : প্রধানমন্ত্রী বিকাশ (PM- VIKAS),
• আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন, আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা ২০২৩ :
• ১৫ই আগস্ট ২০২৩ স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আধিকারিক ক্ষেত্রে পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা ২০১৩ এর ঘোষণা করেছেন।
• প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে, এই যোজনার শুভ আরম্ভ করা হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে।
• পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা ২০২৩ সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে।
• এই যোজনা অনুসারে যে কাজগুলি করা হবে সেগুলি হল গ্রিন টেকনোলজি, ব্র্যান্ড প্রমোশন, আধুনিক টেকনিক এর তথ্য, স্থানীয় এবং বৈশ্বিক বাজার সম্বন্ধিত ডিজিটাল পেমেটস বা সামাজিক সুরক্ষা।
• এছাড়া এই যোজনা অনুসারে আর্থিক সহযোগিতা, এডভান্স স্কিল ট্রেনিং, আধুনিক টেকনিক পেপার লেস পেমেন্টস ইত্যাদি বিষয়ও জড়িত রয়েছে।
বিশ্বকর্মা যোজনা তে কি কি সুবিধা পাবেন?
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার অধীনে সমস্ত শিল্পী ও কারিগরদের নিম্নলিখিত সুবিধা গুলি দেওয়া হবে:
• প্রথম পর্যায়ে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে ৫% সর্বোচ্চ সুদের হারে।
• এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে ৫% সর্বোচ্চ সুদ দেবে সরকার।
• স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হবে কারিগরদের।
• বৃত্তি হিসেবে প্রশিক্ষণের সময় অর্থাৎ প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে শিল্পী ও কারিগরদের।
• প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা শংসাপত্র এবং পরিচয় পত্রও দেওয়া হবে।
• প্রথম ধাপের ঋণের মেয়াদ ১৮ মাস এবং দ্বিতীয় ধাপের ঋণের মেয়াদ ৩০ মাস।
• টাকা ফেরত এর ক্ষেত্রে প্রতি ডিজিটাল লেনদেনে এক টাকা করে ইনসেনটিভ দেবে সরকার।
বিশ্বকর্মা যোজনা তে কারা লাভবান হবেন?
কেন্দ্রীয় সরকার এর এই প্রকল্পের অধীনে সমাজের অনেক কর্মজীবী মানুষেরা উপকৃত হবেন, তবে যাঁরা উপকৃত হবেন তাঁদের একটা লিস্ট নিচে দেওয়া হল:
• মাছের জাল প্রস্তুতকারক,
• ধোপা,
• মালা প্রস্তুতকারক,
• পুতুল এবং খেলনা প্রস্তুতকারক,
• নাপিত,
• ঝুড়ি, মাদুর প্রস্তুত কারক,
• রাজমিস্ত্রি,
• ভাস্কর্য প্রস্তুতকারক অর্থাৎ যারা মূর্তি তৈরি করেন বা পাথর কেটে মূর্তি তৈরি করেন।
• মুচি অর্থাৎ চর্মকার,
• জুতার কারিগর,
• স্বর্ণকার,
• কুমোর,
• হাতুড়ি এবং টুল কিট প্রস্তুতকারক,
• কামার,
• নৌকা নির্মাতা,
• কাঠমিস্ত্রি।
পি.এম. বিশ্বকর্মা যোজনা অনুসারে আপনি আরও যেসব আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ লাভ পেতে পারেন:
• এই যোজনা অনুসারে সমাজের সকল রকমের কারিগর, শিল্পীর এবং যাঁরা পরম্পরা গত ভাবে শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাঁদের একটি পরিচয় পত্র এবং সম্মানের জায়গায় নিয়ে আসা যাবে।
• পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা ২০২৩ এর লাভ দেশের সমস্ত পারম্পরিক শিল্পকারী এবং কারিগর কে প্রদান করা হবে, যাতে তাঁরা তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে আরও বেশি সফলতা অর্জন করতে পারেন এবং দেশের মধ্যে এবং বাইরে তাঁদের শিল্প কাজ দেখাতে পারেন।
• এই যোজনা অনুসারে উপার্জনের একটি নতুন এবং সুবর্ণ সুযোগ দেওয়া হবে।
• তাছাড়া যাঁরা এই সমস্ত কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের আত্মনির্ভর করার জন্য প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ প্রদান করা হবে।
• এছাড়া দেশের কোটি কোটি শিল্পকার এবং কারিগর কে একটি প্যাকেজ দেওয়া হবে যাকে সংক্ষিপ্ত ভাষায় পি এম বিকাশ (PM – VIKAS) বলা হয়।
উপরে দেওয়া ঐ সমস্ত কাজের সাথে যুক্ত সমস্ত কারিগর ও শিল্পীদের কে তাঁদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য সুনিশ্চিত করা হবে।
বিশ্বকর্মা যোজনা তে আবেদনকারীর যোগ্যতা:
এবার জানা যাক, এই যোজনা তে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে:
যাঁরা এই প্রকল্পে অথবা যোজনাতে আবেদন করতে চাইছেন তাঁদের কিছু যোগ্যতা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন:-
১) আবেদনকারী কে ভারতের মূল এবং স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর অবশ্যই হতে হবে।
৩) এছাড়া যোজনা অনুসারে জারি করা আরও যে সমস্ত যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো আপনাকে সম্পূর্ণ করতে হবে।
৪) পরিবারের একজন সদস্যই এই যোজনাতে আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্বকর্মা যোজনা তে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
• আধার কার্ড,
• ব্যাংকের পাসবুক,
• প্যান কার্ড,
• শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র,
• আপনার চালু থাকা মোবাইল নাম্বার এবং
• পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ ইত্যাদি।
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনাতে অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি:
Step 1 : আপনাকে এই যোজনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এ যেতে হবে, https://pmvishwakarma.gov.in/ এবং সেখানে হোম পেজে যেতে হবে।
Step 2 : এবার আপনাকে এই হোম পেজের উপরে লগইন (login) অপশনে ক্লিক করতে হবে, এবং নিচের দিকে আসতে হবে, যেখানে CSC-Artisons (CSC- View E- Shram Data) এই অপশন দেখতে পাবেন যার উপরে আপনাকে ক্লিক করতে হবে, তার সাথে CSC ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
Step 3 : CSC ব্যবহারকারী নিবন্ধিত আবেদনকারীর বিবরণ থেকে দেখতে পারেন। তাই সেখানে সেই আবেদনকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের পিএম বিশ্বকর্মা যোজনাতে নিবন্ধিত করতে পারেন।
Step 4 : কালে কারিগরদের রেজিস্ট্রেশন করতে বিশ্বকর্মা CSC ব্যবহারকারীদের লগইন ড্রপ ডাউন থেকে CSC রেজিস্টার কারিগর বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে।
Step 5 : আপনার CSC ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন (login) করুন।
Step 6 : ‘No’ সিলেক্ট করুন এখানে, আপনার পরিবারে কোনো সরকারি কর্মচারী আছে কিনা। এবং আপনি কি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রকল্পের অধীনে স্ব-কর্মসংস্থান ব্যবসার বিকাশের জন্য ক্রেডিট/লোন সুবিধা নিয়েছেন কি না। যেমন গত ৫ বছরের মধ্যে পিএমইজিপি (PMEGP), পিএম স্বানিধি (PM SVANidhi), মুদ্রা (Mudra) ইত্যাদি, এবং “continue” বাটনে ক্লিক করুন।
Step 7 : এরপর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে, সেখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে।যেমন:- আপনার Aadhar Authentication করতে হবে, তবে এখানে আপনার আধার কার্ড অবশ্যই আপনার চালু থাকা মোবাইল নাম্বারের সাথে লিঙ্কড থাকতে হবে। এরপর OTP বাটনে ক্লিক করুন। এবং ওটিভি ভেরিফিকেশন এসে যাবে আপনার আধার কার্ডের সাথে লিংক থাকা মোবাইল নাম্বারে।
Step 8 : তারপরে বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে আধার কার্ডের ডিটেইলস সম্পাদন করুন। বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে প্রমাণীকরণের জন্য বায়োমেট্রিক (biometric) বাটনে ক্লিক করুন এবং বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ করুন।
Step 9 : ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম খুলে যাবে। এই রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আপনার পার্সোনাল ডিটেইলস ফিলাপ করতে হবে। যেমন ধরুন আপনার নাম, বাবার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, জন্মতারিখ এবং লিঙ্গ এগুলি আধার কার্ড থেকে পাওয়া যাবে। বৈবাহিক অবস্থা অর্থাৎ বিবাহিত কিনা নির্বাচন করুন, কারিগরের বিভাগ (GEN/SC/ST/OBC) নির্বাচন করুন।কারিগর দিব্যাঙ্গজন কিনা তা নির্বাচন করুন। কারিগর একই রাজ্যে ব্যবসা করছেন কি না তা নির্বাচন করুন এবং সংখ্যালঘু শ্রেণী নির্বাচন করার সময় কারিগর সংখ্যালঘু বিভাগের অন্তর্গত কি না তা নির্বাচন করুন৷
Step 10 : কন্টাক্ট ডিটেলস সেকশনে, মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য নম্বরটি ও PAN কার্ড নম্বর লিখুন যদি আপনার কাছে থাকে।
Step 11 : ফ্যামিলি ডিটেলস সেকশনে, রেশন কার্ড নম্বর, যদি আধার কার্ড নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা থাকে তবে রেশন কার্ড নম্বর এবং পরিবারের বিবরণ অটোমেটিক জনবহুল হবে, অন্যথায় পরিবারের বিবরণ আনতে রেশন কার্ড নম্বর লিখুন। যদি রেশন কার্ড না থাকে তবে ম্যানুয়ালি পারিবারিক তথ্য যোগ করুন।
Step 12 : আধার কার্ড ডিটেইলস সেকশনে, আধার কার্ড এর ঠিকানা, জেলা, রাজ্য এবং পিন কোড নম্বর অটোমেটিক ভাবে পূরণ করা হবে। যদি আধার কার্ড এর ঠিকানা বর্তমান ঠিকানার মতো হয় তবে “Same as Aadhar address ” এ ক্লিক করুন এবং নির্বাচন করুন কারিগর কোন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আসেন বা যদি হ্যাঁ হয় তবে ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন করুন। কারিগররা শহরাঞ্চলের বাসিন্দা হলে ‘না’ নির্বাচন করুন আপনি যদি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আসেন ULB নাম নির্বাচন করুন।
Step 13 : আধার ঠিকানার বিবরণ বিভাগে যদি আধার ঠিকানা ভিন্ন হয় তবে ‘Other’ নির্বাচন করুন এবং কারিগররা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে আসে কি না তা নির্বাচন করুন এবং বর্তমান ঠিকানার বিশদ বিবরণ লিখুন।
Step 14 : পেশা / ব্যবসার বিবরণ (Profession/Trade Details) বিভাগে কারিগরদের পেশার / ব্যবসার নাম নির্বাচন করুন। তারপর উল্লেখ করতে হবে যে, তিনি তাঁর পেশা / ব্যবসা পারিবারিক পেশা এবং ব্যবসার ঠিকানা নির্বাচন করুন। ব্যবসার ঠিকানা যদি আধারের মতো হয় তবে “Same as Aadhar address” নির্বাচন করুন, যদি বর্তমান ঠিকানার মতো হয় তবে “Same as Current address” নির্বাচন করুন৷
Step 15 : সেভিং ব্যাংক একাউন্ট (Saving Bank Details) এর বিবরণ বিভাগে, কারিগরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নাম নির্বাচন করুন, IFSC কোড লিখুন, ব্যাঙ্কের শাখার নাম নির্বাচন করুন এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখুন এবং অ্যাকাউন্ট নম্বরটি পুনরায় দিয়ে নিশ্চিত করুন।
Step 16 : ক্রেডিট সাপোর্ট (Credit Support) বিভাগে কারিগরের প্রয়োজনীয় ক্রেডিট সাপোর্ট (হ্যাঁ বা পরে) এবং যদি ক্রেডিট সাপোর্ট প্রয়োজন হয় তাহলে তা নির্বাচন করুন। ১ লাখ (1,00,000) পর্যন্ত পরিমাণ লিখুন। কারিগর একই সেভিং ব্যাংক শাখা থেকে ঋণ নিতে হলে পছন্দের ব্যাংক শাখা থেকে ঋণ নিতে “Same as saving bank account”
অন্যথায় কারিগররা অন্য কোনো ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ নিতে চাইলে ‘other’ নির্বাচন করুন এবং ব্যাংক ও শাখা (Branch) নির্বাচন করুন। যেখানে কারিগররা ঋণ নিতে চান। ঋণের উদ্দেশ্য নির্বাচন করুন এবং আন্তঃ বিদ্যমান ঋণের বকেয়া তথ্য যদি থাকে এবং উল্লেখ করুন মোট মাসিক পারিবারিক আয়।
Step 17 : ডিজিটাল ইন্সেন্টিভ সেকশন (Digital Incentive Section) বিভাগে কারিগরের কোন ইউপিআই আইডি (UPI ID) যদি থাকে তবে তা নির্বাচন করুন, হ্যাঁ বা না নির্বাচন করুন। যদি হ্যাঁ হয় upi ID er বিবরণ দিন। সম্ভব থাকলে ইউপিআই আইডি লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বরটিও লিখুন।
Step 18 : দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিভাগটিতে (Skill Training) স্কিমের উপাদানগুলির সুবিধাগুলি পড়ুন এবং বুঝুন।
Step 19 : বিপণন সহায়তা বিভাগে (Marketing Support), এই স্কিমের অধীনে উপলব্ধ বিভিন্ন বিপণন সম্পর্কিত সহায়তা সুবিধা নির্বাচন করুন।
Step 20 : ঘোষণা এবং শর্তাবলী গ্রহণ করুন।
Step 21 : সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পরে Submit বোতামে ক্লিক করুন। একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর তৈরি হবে, সেখানে চাওয়া সমস্ত কাগজপত্র অথবা ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
Step 22 : এরপর আপনার সামনে আবার একটি নতুন পেজ ওপেন হবে, আর এখানে দেখতে পাবেন আপনার অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি, আর সেই নাম্বারটি সংগ্রহ করে সেভ করে রাখুন, পরবর্তীতে প্রয়োজন পড়বে।