Headlines

“বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” প্রকল্পে কন্যা সন্তানদের আর্থিক অনুদান দিচ্ছে কেন্দ্র! কিভাবে করবেন আবেদন?

আমার বাংলা ডেস্ক : আমরা দেশে এমন অনেক স্কিম আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প নিয়ে চলে এসেছে কেন্দ্র সরকার । এই প্রকল্প হল কন্যা সন্তান জন্মের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং তাদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক ভাবে সাহায্য করে ।

জেনে নিন এই স্কিম সম্পর্কে :

দেশে ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ অভিযান বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছে। এর অধীনে দেশের কন্যা সন্তানদের নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে আরও একটি প্রকল্প রয়েছে যা কেন্দ্র সরকারের অনেক আগে থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর অধীনে মেয়েদের জন্ম থেকে শিক্ষা পর্যন্ত সরকারের তরফে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বালিকা সমৃদ্ধি প্রকল্প কী ?

১৯৯৭ সালে, কেন্দ্র সরকার ‘বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা’ শুরু করেছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, কেন্দ্র সরকার কন্যা শিশুর জন্ম থেকে তার শিক্ষার জন্য বছরের পর বছর ধরে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। প্রথমে, কন্যা সন্তানের জন্মের পরে মাকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এরপর কন্যাশিশুদের দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পর্যায়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের অধীনে, শুধুমাত্র বিপিএল পরিবারগুলি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় মেয়ে শিশুর জন্মের পর সরকারি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। পরিবারের মাত্র দুই মেয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে।

বালিকা সমৃদ্ধি প্রকল্পে আবেদনের জন্য কী কী  নথির প্রয়োজন ?

বালিকা সমৃদ্ধি প্রকলের অধীনে আপনার মেয়ে সন্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে । এর মধ্যে রয়েছে শিশু-কন্যার জন্ম শংসাপত্র (Birth Certificate)
বাবা-মা আবাসস্থলের প্রমাণ (Domicile of Patents)
মা-বাবা অথবা আত্মীয়দের কারও পরিচয়পত্র
আইডি প্রমাণের জন্য, রেশন কার্ড (Ration Card),, আধার কার্ড (Aadhaar Card), ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাসবুক (Bank Account Passbook) ব্যবহার করা যাবে।

কীভাবে আবেদন করবেন এই প্রকল্পে আবেদন?

বালিকা সমৃদ্ধি প্রকল্প, আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই আবেদন করতে পারেন। অফলাইনে আবেদন করতে, আপনি যে কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফর্মটি পেতে পারেন।

অনলাইনে আবেদন করতে, আপনি ফর্মটি পূরণ করুন এবং শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিন। উল্লেখ্য, গ্রামীণ এবং শহরে সুবিধাভোগীদের জন্য ফর্ম আলাদা। ফর্মটি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। যেখান থেকে ফর্মটি নেওয়া হয়েছে সেই প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এই প্রকল্পে, শহর ও গ্রামাঞ্চলে আলাদা ফর্ম দেওয়া হয়। ফর্মটি প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।

কত স্কলারশিপ দেওয়া হয় ?

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে, যা ১৯৯৭ সালে কন্যা শিশুর কল্যাণে শুরু হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার কন্যা সন্তানদের শিক্ষার জন্য বার্ষিক বৃত্তি প্রদান করে।

প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে প্রতি বছর ৩০০ টাকা
চতুর্থ শ্রেণিতে ৫০০ টাকা
পঞ্চম শ্রেণিতে ৬০০ টাকা
ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ৭০০ টাকা
অষ্টম শ্রেণিতে ৮০০ টাকা
নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০০০ টাকা সাহায্য করা হয়

বালিকা সমৃদ্ধি প্রকল্প পরিচালনা কে করেন?

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা গ্রামীণ এলাকায় সমন্বিত শিশু উন্নয়ন পরিষেবা দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা এই প্রকল্পটি চালান।

Leave a Reply