Headlines

শুরু হলো বিশ্বকর্মা যোজনার আবেদন প্রক্রিয়া! নাম লেখান আর পেয়ে যান ১৫ হাজার টাকা! জেনে নিন বিস্তারিত

১৭ সেপ্টেম্বর ছিল নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন ওই দিনই পড়েছিল এবারের বিশ্বকর্মা পূজা সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের ঐতিহ্যগত কারিগরদের জন্য উপযোগী প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার উদ্বোধন করেন। এবার রাজমিস্ত্রি, ছুতোর, ধোপা কামার কুমোড় সহ ঐতিহ্যগত কারিগরদের জন্য বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদন জানানোর দরজা খুলে দেওয়া হল। এই প্রকল্পে আবেদন জানালেই গোড়াতে পেয়ে যাবেন ১৫ হাজার টাকা!

এই ১৫ হাজার টাকার ভাউচার আপনাকে দেওয়া হবে নিজের পেশার জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক টুলকিট বা ছোট ছোট যন্ত্র কিনতে। পাশাপাশি এই ঐতিহ্যগত কারিগরদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং তাঁরা যাতে আধুনিক প্রযুক্তি পেশার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে কেন্দ্র।

আর সেই প্রশিক্ষণে অংশ নিলে দৈনিক ৫০০ টাকা করে ভাতা পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের পুরো নাম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা বা পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana)। ওই প্রকল্পের অধীনে ছুতোর, রাজমিস্ত্রি, স্যাকরা, মুচি সহ মূলত ওবিসি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত শিল্পী কারিগরদের জন্য পাঁচ দিনের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে।

বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা কী?

ছোট ব্যবসায়ী বা নতুন স্বনিয়োজিত হওয়াদের পাশে দাঁড়াতে এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। ১৫ অগস্ট ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এখনও পর্যন্ত মুদ্রা যোজনায় দেশের যুবক যুবতীদের ব্যবসা করার জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।

আগামী দিনে এই ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। এই প্রকল্পের হাত ধরে দেশের কর্মসংস্থানও বেড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তবে বিশ্বকর্মা প্রকল্প মূলত ঐতিহ্যগত কারিগরদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। যারা ঐতিহ্য পরম্পরায় বিশেষ কিছু কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে ওঠেন। মূলত স্যাকরা, কামার, কুমোর, ছুতোর মিস্ত্রি, ধোপা, রাজমিস্ত্রি সহ কিছু নির্দিষ্ট হস্তশিল্পীরা এই শ্রেণির অন্তর্গত হন।

বিশ্বকর্মা যোজনায় কাদের লাভ হবে?

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এই বিশ্বকর্মা প্রকল্পের হাত ধরে সমাজের ঐতিহ্যগত প্রান্তিক কারিগরেরা বিপুলভাবে লাভবান হতে চলেছেন। আগামী চার বছর এর জন্য প্রাথমিকভাবে কেন্দ্র প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। উল্লেখ্য এই বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনার কথা ২০২৩ সালের বাজেট পেশ করতে গিয়েই ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে তা কার্যকর করার কথা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করায় এই প্রকল্পের গুরুত্ব অনেকখানি বেড়ে যায়।

বিশ্বকর্মা যোজনার সুবিধা কী কী?

(1) বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনার অধীনে এই ঐতিহ্যগত কারিগরদের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন ও পেশার বিস্তারের জন্য অত্যন্ত অল্প সুদে প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। মাত্র ৫% সুদে এই ঋণের ব্যবস্থা হবে। এর জন্য কোন‌ও কিছু বন্ধক রাখতে হবে না। প্রথম দফায় প্রাপ্ত ঋণ শোধের মেয়াদ ১৮ মাস এবং দ্বিতীয় দফায় প্রাপ্ত ঋণ শোধের মেয়াদ ৩০ মাস।

(2) এই ঐতিহ্যগত কারিগরদের বর্তমান ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের উৎপাদিত দ্রব্য দেশ ও বিদেশের বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা, ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা ইত্যাদি সহায়তা করবে সরকার।

(3) প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়া কারিগরদের মানপত্র এবং বিশ্বকর্মা পরিচয় পত্র দেবে সরকার।

(4) প্রাপ্ত ঋণের অর্থ যদি ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে কারিগররা শোধ করেন সেক্ষেত্রে লেনদেন পিছু ১ টাকা করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় কীভাবে আবেদন করবেন?

আপনার বাড়ির নিকটস্থ কমন সার্ভিস সেন্টার (CSC)-এ গিয়ে বায়োমেট্রিক পরিচয় যাচাই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় নিজের নাম নথিভুক্ত করুন। এর জন্য কোন‌ও অর্থ লাগবে না, গোটা বিষয়টি বিনামূল্যে হবে।

Leave a Reply