Headlines

পড়াশুনা জানেন না, নেই কোনো প্রশিক্ষণও, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে তাকে লাগলেন এই ব্যক্তি

অর্থই কি সব? অর্থ না থাকলে কি সাফল্য অধরা? না, সাফল্যের মুখ দেখতে গেলে প্রয়োজন ইচ্ছেশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম। এই দুইয়ের মেল বন্ধন ঠিক মতো হলে, সীমিত সম্পদেও সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

রাজস্থানের চুরুর ব্যবসায়ী মোহনলাল কুডাল সেই কথাকেই সত্যি প্রমাণ করে দিয়েছেন। মোহনলাল এমন একজন মানুষ যাঁর ইচ্ছাশক্তির জোরে সামান্য ব্যবসা আজ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। মাত্র ২১০০ টাকা বিনিয়োগে মোহনলাল শুরু করেছিলেন ব্যবসা। এখন সেই ব্যবসাই পৌঁছেছে কোটি টাকার ঘরে৷ মোহনলাল যুব সম্প্রদায়ের কাছে এক দৃষ্টান্ত।

চুরুর কাছে ডাবলা গ্রামের বাসিন্দা মোহনলাল কখনও স্কুলের আঙিনায় পা রাখেননি। ৬৬ বছরের সেই ব্যক্তিই আজ নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে ফেলেছেন। এমনকী তিনি কোনও প্রথাগত প্রশিক্ষণও নেননি। বরং, নিজে নিজেই শিখেছিলেন মেশিন মেরামত করতে। তারপর ক্রমাগত সেই কাজে এতটাই পারদর্শী হয়ে উঠেছেন যে নিজেই হয়ে উঠেছেন একটি প্রতিষ্ঠান।

মোহনলালের সংস্থা এখন নতুন সেলাই মেশিন বিক্রি করে। চুরু শহরের অলোক সিনেমার কাছে কুডাল সেলাই মেশিন সেন্টারের মালিক মোহনলাল কুডাল। তিনি জানান, ১৯৭৪ সালে একটি সেলাই মেশিন মেরামতের দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে, একটি বা দু’টি সুপরিচিত ব্র্যান্ড ছাড়া, কোনও কোম্পানি ভারতে টেইলারিং তৈরি করত না। তাই এখানে সেলাই মেশিন বিক্রি হতো না, মেশিনের যন্ত্রাংশও পাওয়া যেত না।

মোহনলাল বলেন, ‘সেই সময় ব্রিটিশ আমলের বিদেশি সেলাই মেশিন সিঙ্গার, পাফ, অ্যাডলার মেশিন মেরামতের জন্য কাছে আসতেন গ্রাহকেরা। কিন্তু যন্ত্রাংশ পাওয়া যেত না।’ এই অবস্থায় তিনি ১৯৮০ সালে একটি টার্নিং মেশিন কেনেন। প্রতিটি অংশ ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। সবটা বুঝে নিতে শুরু করেন।

২০০০ সালে, নিজের ব্র্যান্ডকে নিবন্ধন করিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর শুরু হয় তাঁর নিজের সেলাই মেশিন তৈরি। ২৩ বছর পর সেই ব্যবসা থেকে কোটি টাকা রোজগার হয়। কর্মসংস্থান হয় বেশ কিছু যুবকের।

Leave a Reply