আধ কাটা জন্যই যথেষ্ট! মধ্যবিত্তের স্বপ্নের বাড়ি বানাতে বড় ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা

এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে, কলকাতা পৌর নিগম (KMC) মাত্র আধ কাঠা (প্রায় ৩৬০ বর্গফুট) পরিমাণ ছোট জমিতেও বাড়ি নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম শুক্রবারের “টক টু মেয়র” অনুষ্ঠানে এই বিপ্লবাত্মক পরিবর্তনের ঘোষণা করেন, এবং জানান যে অনুরূপ নিয়ম শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পৌরসভায় প্রসারিত করা হবে।

Advertisements

ছোট জমির মালিকদের জন্য স্বস্তি

“আমরা আধ কাঠা বা এক কাঠার কম পরিমাপের জমিতে নির্মাণ অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” মেয়র হাকিম বলেন। “এই সিদ্ধান্ত মেয়র পরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।” তিনি বাসিন্দাদের জমির আকার যাই হোক না কেন, উপযুক্ত অনুমোদন পাওয়ার আহ্বান জানান, সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে অননুমোদিত নির্মাণ জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। পৌরসভা এই অনুমোদনগুলি সহজ করতে আনুপাতিক ছাড় প্রদান করবে, এবং সব শর্ত পূরণ হলে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Advertisements

সাধারণ নাগরিকদের জন্য আর্থিক সুবিধা

এই বছরের শুরুতে, মেয়র বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন যে তিন কাঠার কম জমির ক্ষেত্রে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন ফি অর্ধেক করা হবে। এই যৌথ পদ্ধতি—ছোট জমি অনুমোদন করার পাশাপাশি ফি কমানো—স্পষ্টতই নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ভোটারদের উপকার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার ভিত্তি শক্তিশালী করবে।

প্রথম অনুমোদন ইতিমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে

কেএমসি বিল্ডিং বিভাগ অনুসারে, এই নতুন নীতির অধীনে প্রথম অনুমোদন ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২২৬ মিডল রোডে ১০ ছটাক (৩ কাঠা) জমির জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে। বিভাগ নিকাশি এবং রাস্তা সেটব্যাক সম্পর্কিত কিছু প্রয়োজনীয়তা শিথিল করেছে, যদিও নির্মাণ তিনতলা পর্যন্ত সীমিত থাকবে। আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে এই নীতি লিজহোল্ড জমি এবং কলোনি প্লট সহ সমস্ত ওয়ার্ডে প্রযোজ্য হবে।

Advertisements

“বাংলার বাড়ি” আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারিত হচ্ছে

মেয়র পরিষদের বৈঠকে “বাংলার বাড়ি” আবাসন প্রকল্পের জন্য চারটি নতুন স্থান অনুমোদন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে খিদিরপুরের অরফানগঞ্জ মার্কেট, শশী শেখর বোস রোড, কেওড়াপুকুর এসটিপি, এবং জে.কে. ঘোষ রোডের রসগোল্লা এলাকা। প্রতিটি স্থানে ১৬টি করে মোট ৬৪টি আবাসন ইউনিট থাকবে, প্রতিটি পরিবারকে ২৭০-২৭৫ বর্গফুট বরাদ্দ করা হবে যাতে দুটি ঘর, একটি রান্নাঘর, এবং একটি বাথরুম থাকবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলিকে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদান করা এবং শহর জুড়ে অননুমোদিত নির্মাণ কমানো।

Leave a Comment