নিজস্ব বাড়ি করার স্বপ্ন সবারই থাকে এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। অনেকেই নিজের স্বপ্নকে পূর্ণ করতে গৃহঋণ নেয়। এখন থেকে তা পেতে মধ্যবিত্তের আর কোনো সমস্যা হবেনা। বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার (West Bengal home loan)। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনও ‘শালি’ জমির চরিত্রের বদল ঘটিয়ে যদি ‘বাস্তু’ না করা হয় সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব। শুধু যে লোন পেতে অসুবিধা হবে তাই নয় যেকোনো নির্মাণের ক্ষেত্রেও অসুবিধা দেখা দেবে।
কী ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার?
এতদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছিল মূলত গ্রাম বা মফস্বলের মানুষরা। তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকার মধ্যবিত্তের এই ধরনের জমির ক্ষেত্রে লোন পেতে (West Bengal home loan) বা নির্মাণের অনুমতি পেতে যাতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেইকারণে বহু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। যখনই কোনো শালি জমির চরিত্র বদল হবে তা সরকারি তথ্যভাণ্ডারে আপডেট হয়ে যাবে। পাশাপাশি মৌজা ম্যাপেও তা আপডেট হয়ে যাবে। এরফলে এবার থেকে সরকারি তথ্য এবং জমির মালিকের কাছে এক নথি থাকায় কোনও অনুমতি এবং গৃহঋণের ক্ষেত্রে আর সমস্যা থাকবে না।
সুবিধা পাবেন মধ্যবিত্তরা
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, মধ্যবিত্তের যাতে আর সমস্যা না হয় তাই শীঘ্রই এই নিয়ে পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য। পুজোর আগেই রাজ্যজুড়ে সেই ব্যবস্থা চালু হবে। ইতিমধ্যেই হাওড়াতে এই উদ্যোগ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। লোন কিংবা নির্মাণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আর ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে না।
পরবর্তীকালে গোটা রাজ্যেই এই একই ধরনের ব্যবস্থা চালু হতে পারে। প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে এই তথ্য আপডেট করার কাজ করতে চলেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এমনটাই তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়। ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মূলত মধ্যবিত্তদের জমির উপর হোম লোন (West Bengal home loan) নিতে গিয়ে বিপদে পড়তে হত। কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে তারা নির্বিঘ্নে সমস্ত কাজ করতে পারবে।