পুজোর আগেই বড় উপহার দিল এলআইসি। এজেন্টদের জন্য একাধিক বড় ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ। গ্র্যাচুইটির সীমা বাড়ানো হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে পারিবারিক পেনশন, মেয়াদি বিমা কভার এবং কমিশনও। অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের ফলে ১৩ লক্ষের বেশি এজেন্ট এবং ১ লক্ষের বেশি এলআইসি কর্মী উপকৃত হবেন। দেশের বিমা ক্ষেত্রে এলআইসি-র বৃদ্ধি এবং অবস্থান আরও মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ সরকারের।
গ্র্যাচুইটির সীমা কত করা হলো? নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এলআইসি এজেন্টদের গ্র্যাচুইটির সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। ‘এতে এলআইসি এজেন্টরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন, কাজের অবস্থারও উন্নতি হবে’, এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে অর্থ মন্ত্রক। এতদিন পুরনো এজেন্সির আওতায় কোনও ব্যবসা থেকে ‘রিনিউয়াল কমিশন’ পেতেন না এজেন্টরা। নয়া ব্যবস্থায় পুনর্নিযুক্ত এজেন্টদের এই কমিশন দেওয়া হবে। সরকার জানিয়েছে, এর ফলে এজেন্টরা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন।
কী জানালো অর্থমন্ত্রক? এখানেই শেষ নয়, এজেন্টদের টার্ম ইনস্যুরেন্স কভারও ৩ হাজার-১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার-১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সরকারের মতে, ‘মেয়াদি বিমা কভার বাড়ানোয় মৃত এজেন্টদের পরিবার আর্থিক সুরক্ষা পাবেন’। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘এলআইসি কর্মচারীদের কল্যাণে’ ৩০ শতাংশ অভিন্ন হারে পারিবারিক পেনশন দেওয়া হবে’। কয়েক বছরে এলআইসি-র ব্যবসা বহুগুণ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে নেট মুনাফা হয়েছে ৯,৫৪৪ কোটি টাকা। গত বছরের এই সময়ে এলআইসি-র নেট মুনাফা ছিল ৬৮৩ কোটি টাকা।
এলআইসি জানিয়েছে, জুন ত্রৈমাসিকে মোট আয় বেড়েছে ১,৮৮,৭৪৯ কোটি টাকা যা আগের বছরে ১,৬৮,৮৮১ কোটি টাকা ছিল। তবে রিপোর্টিং ত্রৈমাসিকে প্রথম বছরের প্রিমিয়াম ৬,৮১১ কোটি টাকায় নেমে এসেছে যা আগের বছর ৭,৪২৯ কোটি টাকা ছিল। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালে পথ চলা শুরু করে এলআইসি। সেই সময় প্রাথমিক মূলধন ছিল ৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, ৪০.৮১ লক্ষ টাকার জীবন তহবিল এবং ৪৫.৫০ লক্ষ কোটি টাকা সম্পদ তৈরি করেছে এলআইসি।
