আমরা টাকা রোজগার করি এবং একাধিক জায়গায় টাকা জমা রাখি সুদের আশায়। তার মধ্যে টাকা জমাবার অন্যতম সেরা দুটি পছন্দ হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং পোস্ট অফিস। সাধারণ গ্রাহকরা নিজেদের সঞ্চয় সুরক্ষিত রাখতে পোস্ট অফিসকে তাদের প্রথম পছন্দ হিসাবে বেছে নেয়। কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে এই সুরক্ষার জন্য পোস্ট অফিস স্কিমে হয়তো কিছুটা কম সুদ পাওয়া যায়। কিন্তু, বাস্তবটা অন্যরকম। পোস্ট অফিস তার কিছু কিছু স্কিমে প্রায় ১০ শতাংশেরও সুদ দেয়।
পোস্ট অফিসের দেওয়া সুদের পরিমাণ বিভিন্ন স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কের অফার করা ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি)-এর সুদের হার থেকেও বেশি হয়। পোস্ট অফিসের এমনই একটি দারুণ স্কিম হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। এতে পোস্ট অফিস বিভিন্ন সময় ৯ শতাংশের বেশি সুদের হার অফার করে থাকে। যা গ্রাহকদের দারুণ সুদের হারে টাকা জমাতে দেয়।
পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে গত কয়েক বছরে দারুণ হারে সুদ দেওয়া হয়েছে। তবে সব থেকে ভালো সুদ দেওয়া হয়েছিল ২০১২-১৩ অর্থবছরে। এই সময় সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ৯.৩০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়েছিল। আবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ৯.৩০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়।
বর্তমানে পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ৮.২ শতাংশ সুদের হার পাওয়া যাচ্ছে। যা সামনে কিছুটা বাড়তেও পারে। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্টের নিয়ম অনুযায়ী একজন বিনিয়োগকারী ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বাধিক ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারবে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কী কী লাগবে?
1. ৬০ বছরের বেশি বয়সী একজন ব্যক্তি।
2. ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এবং ৬০ বছরের কম বয়সী অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারী।
3. অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা কর্মচারীদের বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং বয়স ৬০ বছরের কম।
আপনি ব্যক্তিগত বা শুধুমাত্র স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে ৫ বছর পরে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের ম্যচিউরিটি হয়। তবে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের অ্যাকাউন্টটি মেয়াদপূর্তির তারিখ থেকে আরও ৫ বছরের জন্য বাড়াতে পারেন।