রাজ্যের বেকার সমস্যা দূরীকরণে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্য জুড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। এবার কর্মসংস্থান ঘটতে চলেছে রাজ্যের হাজার হাজার বেকার ছেলে মেয়ের। যার দরুণ হাসি ফুটবে সাধারণ বেকারের মুখে। পুজোর আগেই ঘোষণা হলো রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার শূন্য পদে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করবে রাজ্য।
নিয়োগ প্রক্রিয়া
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের যে কোন জেলার নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কোন প্রার্থী এক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন কাজের জন্য। এখানে নিয়োগ হবে সরাসরি। কোন লিখিত পরীক্ষা হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মারফত কথাবার্তা বলে বা পার্সোনাল ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে কাজে নিয়োগ করা হবে সকল সাধারণ বেকার যুবক যুবতীদের, এমনটা স্পষ্ট করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এই নিয়োগ হবে চুক্তির ভিত্তিতে। পরে স্থায়ীকরণ হবে কিনা সেটা জানা যায়নি।
পদের নাম
সামনেই দুর্গোৎসব আসন্ন। তাই পুজোর আগে এইরকম একটি দুর্দান্ত সরকারি চাকরির সুযোগ তাও আবার বিনা পরিশ্রমে, একে সরকারের উপহারই বলা যেতে পারে। যে উপহার পেয়ে খুশি হতে চলেছেন রাজ্যের সকল সাধারণ বেকার ছেলেমেয়েরা।
আগামী মাসেই আসতে চলেছে বাঙালি সেরা উৎসব দুর্গাপূজা। আর দুর্গা পূজার সময়ে রাজ্যে সর্বত্র হয় লোকে লোকারণ্য। সড়ক পথ গুলি থেকে শুরু করে প্রতিটি অলিগলিও মানুষের ভিড়ে ভরে যায়।
তাই রাস্তাঘাট গুলিতে গাড়ি ঘোড়া চলাচলের ক্ষেত্রে এই সময় বিশেষ নিয়ম জারি করা অত্যন্ত আবশ্যক। নইলে পথ দুর্ঘটনার ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতি বছরই পুজো প্যান্ডেলের এলাকার রাস্তাঘাট গুলিতে বিভিন্ন ট্রাফিক পুলিশ এবং ভলেন্টিয়ারদের অস্থায়ী নিয়োগ (Civic Volunteer Recruitment) করা হয়ে থাকে কাজের জন্য। এইবারেও একই রকম ভাবে আয়োজন করা হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।
শূন্যপদ
কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনো পর্যন্ত ১৮ হাজার শূন্য পদ আবিষ্কার করা হয়েছে রাজ্যে, যেগুলি রয়েছে কলকাতাতেই। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় নিয়োগের কাজও শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। সেগুলির শূন্য পদের সংখ্যা পরে জানানো হবে। তবে সূত্র মারফত জানা গেছে ১৮ হাজার শুন্য পদের মধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গর এলাকাতেই ৮ হাজার ভলেন্টিয়ার কর্মীকে নিয়োগ (Civic Volunteer Recruitment) করা হবে। আর বাকি ১০০০০ ভলেন্টিয়ারদের সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের অধীনে থাকা অন্যান্য থানা গুলিতে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বেতন ও বরাদ্দ
রাজ্য পুলিশের তরফে এটিও জানানো হয়েছে, যে সকল স্বেচ্ছাসেবকরা পুজোর সময় এই বিশেষ ডিউটি দেওয়ার জন্য ইচ্ছুক থাকবেন তাদেরকে নির্দিষ্ট দপ্তর কর্তৃক ইউনিফর্ম এবং টুপি প্রদান (Civic Volunteer Recruitment) করা হবে। এজন্য ৬৫ লাখ টাকার একটি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আসলে পুজো হলো বাঙালির কাছে আনন্দের উৎসব। তাই এই উৎসবের সময় রাজ্যের কোনো এলাকায় যাতে কোন বিপদ না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রশাসনেরই কর্তব্য।