আমার বাংলা ডেস্ক : আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ‘মিশন মোড’-এ চলে গেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রের খবর, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অসম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় প্রকল্প দ্রুত শেষ করার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছিল মোদি সরকার, সেই কাজে কতটা অগ্রগতি হয়েছে এ বার তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ এই ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ‘হর ঘর জল’ প্রকল্পর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার বিষয়টিকে৷
সরকারের শীর্ষ স্তর মনে করছে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’ যে ভাবে কার্যকরী হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই ২৪-এর মহারণে ম্যাজিক দেখাতে পারে ‘হর ঘর জল প্রকল্প’৷ এই ভাবনা থেকেই দেশের সব গ্রামীণ আবাসকে এই প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি৷
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্বে আরও দু’টি বিষয় নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত মোদী সরকার৷ এই মুহূর্তে গোটা দেশে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১১০০ টাকার বেশি যা সাধারণ গৃহস্থের হেঁশেলে আগুন লাগিয়েছে৷ ভোটে গ্যাসের দামের যাতে কোনও বিরূপ প্রভাব বিস্তার না করে তা নিশ্চিত করতে চাইছে শাসক শিবির৷ সিলিন্ডারের দাম কমানোর উপায় কী, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন কেন্দ্রীয় আমলারা৷
পাশাপাশি, কৃষকদের কী ভাবে সন্তুষ্ট রাখা যায় সেই উপায়ও খোঁজা হচ্ছে। এর তদারকিতে রয়েছে পিএমও। চার বছর আগে ‘হর ঘর জল’ প্রকল্প যখন নেওয়া হয়েছিল, তখন গ্রামের ১৭ শতাংশ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া যেত। সরকারের দাবি, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ শতাংশে।
সরকারের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার৷ তাই যে করে হোক আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০০ শতাংশ গ্রামীণ আবাসে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে চায় কেন্দ্র৷ আগামী বছরের এপ্রিল-মে নাগাদ লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা।
তার আগেই যদি ‘হর ঘর জল’ প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়, তা হলে এই প্রকল্পের সার্থকতাকে নির্বাচনী মাইলেজে রূপান্তরিত করতে পারে শাসক দল, এমন হিসেব করেই প্রকল্পের কাজে যুদ্ধকালীন তত্পরতা আনার নির্দেশ এসেছে সরকারের শীর্ষ স্তর থেকে।